গৌতম বুদ্ধের জীবন ও বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস: (History of Buddhism).

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে যারা প্রতিবাদী ধর্মকে ভারত তথা বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন গৌতম বুদ্ধ ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।



গৌতম বুদ্ধের জীবন
গৌতম বুদ্ধের জন্মের সময়কাল হিসাবে অনেকেই ভিন্ন মত পোষন করেছেন। গৌতম বুদ্ধের জন্ম বিষয়ক তথ্য সমূহ 'মহাবংশ', 'দ্বীপবংশ', 'সুত্ত্বনিপাত', 'ললিত বিস্তার', এছাড়াও অশ্বঘোষ রচিত 'বুদ্ধচরিত' গ্রন্থ থেকে পাওয়া যাই।
গৌতম বুদ্ধ বর্তমান নেপালের তৎকালিন কপিলাবস্তুর লুম্বিনী নামের একটি স্থানে আনুমানিক ৫৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহন করেন। গৌতম বুদ্ধের পিতা ছিলেন লুম্বিনির রাজা, যার নাম ছিল শুদ্বোধন এবং তার মা ছিলেন দেবদাহ রাজ্যের রাজকন্যা মায়া। জন্ম হবার পর প্রথম দিকে গৌতম বুদ্ধের নাম ছিল 'সিদ্ধার্থ'।
কিন্তু কথিত আছে যে অসিত নামের একজন সন্ন্যাসী নবজাত শিশুকে দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে এই শিশু পরবর্তীকালে একজন রাজচক্রবর্তী অথবা একজন সিদ্ধ সাধক হবেন।
এছাড়াও এক ব্রাহ্মণ যার নাম ছিল কৌশুিনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, এই শিশু পরবর্তীকালে বুদ্ধত্ব লাভ করবেন।
কিন্তু হঠাৎ তার মা মায়াদেবী মারা গেলে শিশু সিদ্ধার্থের মানুষ করার দায়িত্ব চলে আসে সিদ্ধার্থের সৎ মা প্রজাপতি গৌতমীর উপর, যার মাতৃছায়ায় সিদ্ধার্থ বড় হন, যেহেতু তাকে লালন পালন তার বিমাতা গৌতমী করেছিল, তাই সিদ্ধার্থের পরবর্তীকালে নাম হয় 'গৌতম'।

গৌতম বুদ্ধের বৌদ্ধত্ব লাভ
গৌতম বৌদ্ধ সন্ন্যাস জীবন গ্রহন করার আগে আলার কলাম নামে একজনের কাছে দিক্ষা নেন। কিন্তু তার বহু আগে বাল্যকাল থেকেই সিদ্ধার্থের মধ্যে সংসারের প্রতি মায়া একপ্রকার ম্লান হয়ে পরে। এমনাবস্থাই সিদ্ধার্থের পিতা শুদ্বোধন গৌতমের সংসারের প্রতি এই অনীহা দেখে গৌতমকে বাল্যকালেই শাক্য রাজ্যের রাজকুমারী 'গোপা' বা 'যশোধরা' র সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।

গৌতম বুদ্ধের রাজকুমারী গোপার সাথে বিয়ে হলে তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়, যার নাম তারা রাখেন রাহুল, কিন্তু তবুও গৌতম বুদ্ধের মন পার্থিব এই সংসারের মোহ-মায়াই আকৃষ্ট করতে পারে নি, গৌতম বুদ্ধ বরাবরই মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া সুখ ও দুঃখের নিবৃত্তির জন্য মধ্য পন্থা খুঁজতেন। একদিন রাত্রে মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য গৌতম বুদ্ধ ঘর থেকে পালিয়ে যান। যেটি বৌদ্ধ ধর্ম অবলম্বনকারিদের কাছে ও ইতিহাসের পাতায় 'মহাভিনিষ্ক্রমণ' নামে পরিচিত।

সংসারের মোহ-মায়া ত্যাগ করার পর গৌতমবুদ্ধ বুদ্ধগয়ার কাছে ফল্গু নদির পাশে থাকা অশ্বথ গাছের নিচে তপস্যায় লিন হন, এবং দীর্ঘদিন তপস্যাই লিন থাকার পরেও তিনি প্রথম তপস্যার পর্যায়ে সফল হতে পারেন নি, কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি সুজাতা নামের একজন মহিলার পায়েস খাবার পর এই সিদ্ধান্ত নিলেন যে যতক্ষন না তিনি বোধি বা পূর্নজ্ঞান অর্জন করছেন না ততক্ষন তিনি তপস্যা থেকে উঠবেন না। সিদ্ধার্থের দ্বিতীয় প্রচেষ্টাই তিনি সফল হলেন এবং বোধি বা দিব্যজ্ঞান লাভ করলেন, যে থেকে তার নামের সাথে 'বুদ্ধ' বা 'পরমজ্ঞানী', এবং 'তথাগত' নামে পরিচিত হলেন।

বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার
বোধি লাভের পর সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হলেন, এবং যে গাছের নিচে তিনি এই বোধি লাভ করেছিলেন সেই উদ্ভিদ 'বোধিবৃক্ষ' নামে পরিচিত।
গৌতম বুদ্ধ অসীম জ্ঞান অর্জনের পর তার মতবাদ প্রচার করতে তিনি বারাণসীর 'ঋষিপত্তন' নামের স্থানে যান (বর্তমান নাম 'সারনাথ')। সেখানে গিয়ে মৃগশিখা বনে তার প্রথম ধর্মপ্রচার করেন এবং সেই বনেই তার কাছ থেকে প্রথম দিক্ষা নেন 'বগ্য', 'ভদ্রীয়', 'অশ্বজিত' প্রমূখেরা। যেই ঘটনাটিকে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা 'ধর্মচক্রপ্রবর্তন' হিসাবে উল্লেখ করে থাকেন।

ভগবান গৌতম বুদ্ধ দুঃখ থেকে নিবৃত্তি পাওয়ার জন্য চারটি আর্যসত্য এর কথা বলেছেন, যেগুলো হল-
  • দুঃখের অস্তিত্ব আছে।
  • দুঃখের কারন আছে।
  • দুঃখের নিবৃত্তি করা সম্ভব।
  • নিবৃত্তি করার উপাই রয়েছে।
আর এই নিবৃত্তি পাওয়ার অন্তরাই কে 'নির্বান' বলা হয়।

এছাড়াও গৌতম বুদ্ধ নির্বান লাভের জন্য আটটি প্রধান পন্থার কথা বলেন, যেগুলো 'অষ্টাঙ্গিক মার্গ' নামে পরিচিত। 
গৌতম বুদ্ধের দ্বারা প্রচারিত ধর্মমতে সেই সময়ে রাজা মহারাজারাও আকৃষ্ট হয়ে গৌতম বুদ্ধের প্রচারিত ধর্ম গ্রহন করেছিলেন। যারা হলেন 'সম্রাট অশোক', 'কনিষ্ক', 'বিম্বিসার', 'প্রসেনজিৎ' ইত্যাদি।

গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর ও পরবর্তী ধর্ম প্রচার
গৌতম বুদ্ধ মাত্র ৮০ বছর বয়সে তৎকালিন মল্ল রাজ্যের রাজধানি কুশিনগরে প্রান ত্যাগ করেন, যেই ঘটনাটিকে 'মহাপরিনির্বান' বলা হয়।

গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর পর তার প্রচারিত ধর্মমত খুব দ্রুত হারে গোটা ভারতে ছড়াতে থাকে, এবং পরবর্তী কালে 'হীনযান' ও 'মহাযান' নামে দুটি শ্রেনির উদ্ভব হয়।

গৌতম বুদ্ধের দেহত্যাগের পর তাঁর ধর্মতত্ত্বের ব্যাখ্যাকে কেন্দ্র করে তাঁর অনুগামীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। এই সংকট থেকে বৌদ্ধধর্মকে রক্ষা করার জন্য চারটি বৌদ্ধ সংগীতি বা সম্মেলন আহ্বান করা হয়।

বৌদ্ধ সংগীতি বা বৌদ্ধ সম্মেলন
প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি:
মগধরাজ অজাতশত্রুর উদ্যোগে তাঁর রাজধানী রাজগৃহের তাম্রপর্ণি বা সপ্তপর্ণি গুহায় ৪৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম বৌদ্ধসংগীতি অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বৌদ্ধপণ্ডিত মহাকাশ্যপ। আলোচনার পর বুদ্ধের বাণীগুলি তিনটি পিটক -এ সংরক্ষণ করা হয়। এই তিনটি পিটক হল-
  • বিনয় পিটক।
  • সুত্ত পিটক।
  • অভিধর্ম পিটক।

বিনয় পিটক: বিনয় পিটককে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য বিধান ও সংঘ পরিচালনার জন্য নিয়মকানুনসমূহ পাওয়া যায়।

সুত্ত পিটক: বৌদ্ধধর্মের নৈতিক বিষয়গুলি সুত্ত পিটকে পাওয়া যায়।

অভিধর্ম পিটক: অভিধর্ম পিটকে বৌদ্ধধর্মের দার্শনিক বিষয়গুলি আলোচিত হয়েছে।
জাতকের গল্পগুলিকে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি:
৩৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কালাশোক বা কাকবর্ণের আমলে রাজধানী বৈশালীতে দ্বিতীয় সংগীতির আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহাস্থবির যশ। এই সম্মেলনে পূর্ব ভারতীয় ভিক্ষুগণ বা মহাসাংঘিকরা দশটি নতুন আচার গ্রহণ করে। পশ্চিম ভারতীয় ভিক্ষুরা বা থেরবাদীরা এইসব আচারে আপত্তি করেন। এই নিয়ে সংঘে ঘোর মতভেদ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত থেরবাদীরা এগারোটি ও মহাসাংঘিকরা সাতটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যান। থেরবাদীরা সাধারণভাবে 'হীনযানপন্থী' এবং আচার্যবাদীরা 'মহাযানপন্থী' নামে পরিচিত হন।

তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি:
অশোকের আমলে পুনরায় মহাসাংঘিক ও থেরবাদীদের মধ্যে মতভেদ চরম আকার ধারণ করলে তিস্যের পরামর্শে ২৫১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অশোক পাটলিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধসংগীতির আয়োজন করেন। এখানে বৌদ্ধ অনুরাগীদের মতভেদ দূর করা হয়। এই সম্মেলনে থেরবাদীরা প্রাধান্য পায়।

চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি:
কনিষ্কের সময় বৌদ্ধ সম্প্রদায়গুলির মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে কনিষ্ক তা দূর করার জন্য রাজধানী পুরুষপুর বা পেশোয়ারে (মতান্তরে কাশ্মীরে বা জলন্ধরে) চতুর্থ ও শেষ বৌদ্ধ সংগীতি আহ্বান করেন। এই সময় থেকে হীনযান মতবাদ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মহাযানবাদ জনপ্রিয়তা পায়। বৌদ্ধ পণ্ডিত বসুমিত্র এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এই সম্মেলনের গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বৌদ্ধশাস্ত্র গুলি সংস্কৃত ভাষায় ‘বিভাসা' গ্রন্থে সংকলন করা হয়। এই সময় থেকে বুদ্ধের মূর্তি পূজার প্রচলন হয়।


বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

১. মহাভিনিষ্ক্রমণ বলতে কী বোঝ?
উঃ- বাল্যকাল থেকে সংসারের ভোগবিলাসের প্রতি গৌতম উদাসীন ছিলেন। মানব-জীবনের দুঃখ-যন্ত্রণা নিয়তই তাঁকে পীড়া দিতে থাকে এবং কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় সেই চিন্তাতেই ব্যাকুল ছিলেন। অবশেষে ২৯ বছর বয়সে যেদিন তাঁর পুত্র রাহুলের জন্ম হয়, সেদিনই রাত্রে তিনি গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। বৌদ্ধগ্রন্থে তাঁর গৃহত্যাগের ঘটনা 'মহাভিনিষ্ক্রমণ' নামে খ্যাত।

২. ধর্মচক্র প্রবর্তন বলতে কী বোঝ?
উঃ- পরমজ্ঞান লাভের পর বুদ্ধদেব কাশীর কাছে ঋষিপত্তনে (সারানাথ)-র মৃগদাবে পঞ্চভিক্ষু অর্থাৎ পাঁচজন সন্ন্যাসীর কাছে তার লজ্ঞান বিতরণ করেন। এই ঘটনা ধর্মচক্র প্রবর্তন নামে খ্যাত। এরপর ৪৫ বছর তিনি কাশী, কোশল, মগধ প্রভৃতি স্থানে ধর্মপ্রচার করেন।

৩. আর্যসত্য বলতে কী বোঝ?
উঃ- বুদ্ধদেবের লক্ষ্য ছিল দুঃখের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করা। বুদ্ধের মতে, আসক্তির কারণে মানুষ মৃত্যুর পর পুনরায় জন্মগ্রহণ করে। এভাবে জন্মান্তরক্রিয়া চলতে থাকে। এই দুঃখরূপ কর্মফল ভােগ (অর্থাৎ বারবার জন্মগ্রহণ) থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য বুদ্ধদেব মানুষকে চারটি সত্য উপলব্ধি করার পরামর্শ দিয়েছেন।
চারটি আর্যসত্য হল-
  • এই পৃথিবী দুঃখময়।
  • মানুষের কামনা, বাসনা ও আসক্তি থেকেই দুঃখের সৃষ্টি হয় ('সমুদয়')।
  • কামনা, বাসনা ও আসক্তিকে নিবৃত্ত করতে পারলে মুক্তিলাভ সম্ভব (নিরােধ)।
  • কামনা, বাসনা, আসক্তি দূর করার জন্য নির্দিষ্ট পথ (বা ‘মার্গ) অনুসরণ করা দরকার।
আত্মার মুক্তিকে তিনি নির্বাণ নামে অভিহিত করেছেন।

৪. অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলতে কী বোঝ?
উঃ- আসক্তিমুক্ত হয়ে নির্বাগলাভের জন্য বুদ্ধদেব আটটি পথ বা অষ্টাঙ্গিক মার্গ (Eight Fold Path) অনুসরণ করতে বলেছেন। এই আটটি পথ হল- সৎবাক্য, সৎকর্ম, সৎসংকল্প, সৎচেষ্টা, সজীবিকা, সৎচিন্তা, সৎচেতনা ও সৎসমাধি।

৫. অষ্টাঙ্গিক মার্গের মূল লক্ষ্য কী?
উঃ- অষ্টাঙ্গিক মার্গের মূল লক্ষ্য হল সৎ পথে থেকে অহিংসার মাধ্যমে সত্যকে উপলব্ধি করা। সামাজিক সংঘাত বর্জন করে শান্তির বাতাবরণ তৈরি করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধদেব এই মার্গ অনুশীলনের ওপর বিশেষ জোর দেন।

৬. শীল, চিত্ত ও প্রজ্ঞা বলতে কী বোঝ?
উঃ- অষ্টাঙ্গিক মার্গের সঙ্গে তিনটি বিষয় গভীরভাবে জড়িত, যথা: শীল, চিত্ত ও প্রজ্ঞা।
  • শীল: শীল হল নৈতিক শুদ্ধতা।
  • চিত্ত: চিত্ত হল ধ্যানের দ্বারা মনের সংযম।
  • প্রজ্ঞা: প্রজ্ঞা হল পরম জ্ঞান।
ত্রিপিটকে ‘শীল’, ‘চিত্ত’ ও ‘প্রজ্ঞা’ এই তিনটি বিষয়ের অনুশীলনের কথা বলা হয়েছে।

৭. মধ্যমপন্থা বলতে কী বোঝ?
উঃ- বুদ্ধদেব নির্দেশিত এই কর্মগুলির মধ্যে যেমন চরম ভােগের প্রকাশ ছিল না, তেমনি ছিল না কঠোর কৃচ্ছসাধন। তাই এগুলিকে মধ্যপন্থা (middle path) বা মঝঝিম পন্থা নামে অভিহিত করা হয়েছে।

৮. পঞ্চশীল কি?
উঃ- বুদ্ধদেব তার অনুগামীদের কয়েকটি নৈতিক আচরণবিধি পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। যথা-
  • চুরি না করা।
  • ব্যভিচারী না হওয়া।
  • অসত্য পরিহার করা।
  • হিংসা না করা।
  • সুরাপান না করা।
এই নীতিগুলি 'পঞ্চশীল' নামে পরিচিত।

৯. বৌদ্ধসংঘ কি?
উঃ- সংঘ হল ত্রিরত্ন (বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘ) এর একটি রত্ন। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংগঠিত ও সুসংহত করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধদেব সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সংঘের সদস্য হতে পারতেন। আট বছর বয়সের যেকোনাে নারী-পুরুষ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সংঘে প্রবেশ করতে পারত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন for "গৌতম বুদ্ধের জীবন ও বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস: (History of Buddhism)."