ভারতের সংবিধান রচনার প্রেক্ষাপট: (The background of the constitution of India).


ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে ভারতে ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত ঘটে। লন্ডনে ১৬০০ সালে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে কোম্পানি জয়লাভ করে। ধীরে ধীরে সমগ্র ভারতে কোম্পানি তার অধিকার কায়েমে উদ্যোগী হয়। ১৭৬৫ সালে কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করে। ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলস্বরূপ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিভিন্ন আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আইন হল -

  • রেগুলেটিং অ্যাক্ট বা নিয়ন্ত্রণকারী আইন (১৭৭৩ খ্রিঃ)।
  • পিটের ভারতশাসন আইন (১৭৮৪ খ্রিঃ)।
  • সনদ আইন (১৮১৩, ১৮৩৩, ১৮৫৩) ইত্যাদি।

ভারতে ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন স্থায়ী হয়েছিল।

Regulating Act 1733: নিয়ন্ত্রণকারী আইন (১৭৭৩ খ্রিঃ):
১৭৭৩ সালের Regulating Act প্রধানত ব্রিটিশ সংসদ কর্তৃক বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আয়তাধীন অঞ্চলগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাস করা হয়েছিল। এই সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গুরুতর আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল এবং অবশেষে ১৭৭২ সালে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ঋণ চেয়ে বসে। ব্রিটিশ সরকার ধীরে ধীরে অ্যাডাম স্মিথের মুক্ত বাণিজ্য দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছিল এবং ভারতের সাথে বাণিজ্যে কোম্পানির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণকে বাতিল করতে চেয়েছিল। ওয়েলেসলির যুদ্ধের কারণে যখন কোম্পানির আর্থিক চাপে পড়েছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে ব্রিটিশ সরকার ১৭৭৩ সালের Regulating Act পাস করাকে প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেছিল।

পিটের ভারত শাসন আইন (১৭৮৪) Pitt's India Act:
উইলিয়ম পিট ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তিনি Regulating Act -র (১৭৭৩ সাল) ত্রুটিগুলি দূর করার উদ্দেশ্যে ভারত শাসন আইন (India Act, ১৭৮৪) পাস করেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গঠনতন্ত্র এবং কোম্পানির ভারতীয় প্রশাসনকে নির্দিষ্ট কাঠামো দান, ভারতের আঞ্চলিক পরিষদগুলির (Council) এবং গভর্নর জেনারেল –এর ক্ষমতা ও এক্তিয়ার এবং ইংল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতীয় প্রশাসনের সম্পর্ক এই আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়। সেজন্য এই আইন পিট –এর ভারত শাসন আইন নামে পরিচিত।

১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্ট (Charter Act, 1793):
১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্টের দ্বারা-
  • ভারতে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের মেয়াদ ২০ বছর বাড়ানাে হয়।
  • বাের্ড অব কন্ট্রোলের সদস্য সংখ্যা ৬ থেকে কমিয়ে ৫ জন করা হয়।
  • ভারতীয় রাজস্ব থেকে এই সদস্যদের বেতন ও ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
  • বােম্বাই ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সের ওপর গভর্নর-জেনারেলের কর্তৃত্ব আরও বাড়ানাে হয়। 
  • কোম্পানির কর্মচারীদের শূন্যপদগুলিতে নিয়ােগের ক্ষেত্রে ভারতে অন্তত ৩ বছর বসবাসকারী অভিজ্ঞ ইংরেজদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়।

১৮১৩ সালের সনদ আইন (Charter Act, 1813):
১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্ট প্রণীত কোম্পানির সনদের মেয়াদ ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে শেষ হলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় চার্টার অ্যাক্ট পাস করে।

Charter Act (1813)-এর শর্তাবলি:
১৮১৩ সালের সনদ আইনের শর্ত গুলি হল-
  • ভারতে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লোপ করা হয়।
  • ভারতীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ওপর ব্রিটিশ–রাজের সার্বভৌমত্ব ঘোষিত হয়।
  • কোম্পানি আরও ২০ বছরের জন্য ভারতে শাসন পরিচালনার অধিকার পায়।
  • কোম্পানির আদায় করা রাজস্ব থেকে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা ভারতীয়দের সাহিত্য ও বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য ব্যয় করার কথা বলা হয়।
  • কোম্পানির সামরিক ও বেসামরিক পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য যথাক্রমে এডিসকোম ও হেইলেবেরি কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

Charter Act (1813)-এর ফলাফল:
  • কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অবসানের ফলে সকল ব্রিটিশ বণিকরা ভারতে ব্যাবসা করার সুযোগ পায়।
  • ভারতীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে ব্রিটিশ সরকারের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
  • কোম্পানিকে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
  • যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারী নিয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সনদ আইন (১৮৩৩ খ্রিঃ) Charter Act 1833:
কোম্পানির সনদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা নবীকরণের উদ্দেশ্যে ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় চার্টার অ্যাক্ট পাস করা হয়।

Charter Act 1833 -এর শর্তাবলি:

১৮১৩ সালের সনদ আইনের শর্ত গুলি হল-
  • ভারতে কোম্পানি আরও ২০ বছর শাসন পরিচালনা করবে।
  • কোম্পানির যাবতীয় আর্থিক দায় ও ঋণ ভারতের রাজস্ব থেকে পরিশোধ করতে হবে।
  • বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি ভারত বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভায় স্থান পাবেন।
  • বাংলার গভর্নর জেনারেল এখন থেকে ভারতের গভর্নর–জেনারেল বলে বিবেচিত হবেন। এই আইন অনুসারে, লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ভারতের প্রথম গভর্নর–জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।
  • কোম্পানির কর্মচারীরা ভারতে জমি ক্রয়বিক্রয়ের অধিকার পান।

Charter Act 1833 -এর ফলাফল:
  • গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভারতে শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পথ প্রস্তুত করা হয়।
  • গভর্নর–জেনারেলের নেতৃত্বে সারাদেশে একই ধরনের আইন প্রবর্তনের পথ প্রস্তুত হয়। মার্শম্যান মন্তব্য করেছেন যে, এই আইন ছিল কোম্পানির প্রশাসনিক দক্ষতাবৃদ্ধির সুচিন্তিত পদক্ষেপ।

সনদ আইন (১৮৫৩ খ্রিঃ): Charter Act 1853:
কোম্পানির সনদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা নবীকরণের উদ্দেশ্যে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্ট পাস করা হয়।

Charter Act 1853 -এর শর্তাবলি:
১৮৫৩ সালের সনদ আইনের শর্ত গুলি হল-
  • ভারতে কোম্পানি শাসন পরিচালনার অধিকার বজায় রাখলেও এতে কোনো মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি।
  • অবাধ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে কোম্পানির আমলাদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।
  • আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বড়োলাটের অধীনে ১২ সদস্যবিশিষ্ট আইন পরিষদ গঠিত হয়।
  • যে–কোনো আইন প্রবর্তনে গভর্নর– জেনারেলের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়।
  • ভারতে আইন বিষয়ক পরামর্শ দানের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে ‘আইন কমিশন' গঠিত হয়।

Charter Act 1853 -এর ফলাফল:
  • ভারতে কোম্পানির শাসন পরিচালনার কোনো সময়সীমা ধার্য না হওয়ায় বোঝা যায় যে, কোম্পানির হাত থেকে ভারতের শাসনক্ষমতা শীঘ্রই অধিগ্রহণ করা হবে।
  • বড়োলাটের আইন পরিষদে শাসন বিভাগ থেকে আইন বিভাগকে পৃথক করে এদেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটানো হয়।

The Government of India Act, 1858: ভারতশাসন আইন, (১৮৫৮):
  • ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক অধিকৃত ভারতের ভূখণ্ড ইংল্যাণ্ডের মহারাণী ভিক্টোরিয়ার হাতে ন্যস্ত হয়। ভারতীয় ভূখণ্ডের উপর সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী হলেন রাণী। উক্ত আইনের মাধ্যমে ঘােষণা করা হয় রাণীর নামেই শাসনকার্য পরিচালিত হবে।
  • কোম্পানীর অধীন স্থলবাহিনী ও নৌবাহিনীর উপর অধিকার ও কর্তৃত্ব ইংল্যাণ্ডের রাজা বা রাণীর উপর ন্যস্ত হয়।
  • এই আইনে একজন ভারতসচিব (Secretary of State for India) পদের সৃষ্টি করা হয়। উক্ত সচিব ভারতের শাসনকার্য সম্পর্কিত যাবতীয় কাজকর্মের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে দায়িত্বশীল থাকবেন।

The Indian Councils Act, 1861: ভারতীয় পরিষদ আইন, (১৮৬১):
  • এই আইনের মাধ্যমে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভারতবাসীর অংশ গ্রহণের সুযােগ সৃষ্টি করা হয়।
  • এই আইনে সমগ্র দেশের বিচারব্যবস্থার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের ব্যবস্থা করা হয়। এই উদ্দেশ্যে কলিকাতা, বােম্বাই ও মাদ্রাজে হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের এই আইনের মাধ্যমে ভারতে বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারসাধন করা হয়।
  • এই আইনের মাধ্যমে সীমিতভাবে হলেও, প্রাদেশিক আইনসভাগুলিকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়।



The Indian Councils Act, 1892: ভারতীয় পরিষদ আইন, (১৮৯২):
  • ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের চাপে ব্রিটিশ সরকার কার্যনির্বাহী পরিষদে বেসরকারী সদস্য নিযুক্তির ক্ষেত্রে নির্বাচন ব্যবস্থাকে মেনে নেয়।
  • প্রাদেশিক আইন পরিষদগুলিতেও পরােক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়।
  • এই আইনে সীমিতভাবে প্রাদেশিক আইন পরিষদের ক্ষমতা বাড়ানাে হয়।

The Indian Councils Act, 1909: ভারতীয় পরিষদ আইন, (১৯০৯):
  • এই আইনের দ্বারা কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্যসংখ্যা বাড়ানাে হয়।
  • এই আইনে নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বীকার করা হয়। কিন্তু সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে নির্বাচন প্রথা প্রবর্তন করা হয়। এই উদ্দেশ্যে পৃথক প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।
  • এই আইনটি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সমকালীন ভারতসচিব লর্ড মর্লি (Lord Morley) এবং ভাইসরয় লর্ড মিন্টো (Lord Minto) উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন। এই কারণে এই আইনটি ‘মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন’ (The Morley-Minto Reforms Act) নামে পরিচিত।


The Government of India Act, 1919: ভারতশাসন আইন, (১৯১৯):
  • এই আইনের মাধ্যমে ভারতের শাসনকার্যের সঙ্গে ভারতীয়দের ক্রমশ অধিক যুক্ত করা ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা চালু করার কথা ঘােষণা করা হয়।
  • ভারতে স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলার জন্য প্রাদেশিক সরকারগুলিকে অধিকতর স্বাধীনতা প্রদানের কথা বলা হয়।
  • এই আইনে কেন্দ্রীয় আইনসভাকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট এবং অপেক্ষাকৃত প্রতিনিধিত্বমূলক করা হয়।

The Government of India Act, 1935: ভারত শাসন আইন, (১৯৩৫):

  • ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারতশাসন আইনই হল ভারতের শাসনতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের ইতিহাসে ব্রিটিশ সরকারের শেষ পদক্ষেপ। অধ্যাপক জে. সি. জোহারী বলেছেন, 'It should be treated as the last political gift of the British Imperialism'. এই আইনটি স্বাধীন ভারতের শাসনতান্ত্রিক বিকাশকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। ভারতের বর্তমান সংবিধানের রূপরেখা বহুলাংশে এই আইনটির পটভূমিতে রচিত হয়েছে।
  • এই আইনে কেন্দ্রীয় আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হয়। এর উচ্চকক্ষের নাম রাজ্য পরিষদ (Council of States) এবং নিম্নকক্ষের নাম যুক্তরাষ্ট্রীয় আইনসভা (Federal Assembly)।
  • এই আইনটির মাধ্যমে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা গড়ে তােলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। উক্ত আইনে বিভক্তিকরণ বা বিকেন্দ্রীকরণ (decentralization) পদ্ধতিতে এদেশে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
  • এই আইনের সপ্তম তালিকায় তিনটি তালিকার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যসরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়। এই তিনটি তালিকা হল-
  1. কেন্দ্রীয় তালিকা (Central List).
  2. প্রাদেশিক তালিকা (Provincial List).
  3. যুগ্ম তালিকা (Concurrent List).
  • এই আইনে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত (Federal Court) এর ব্যবস্থা করা হয়।

Mountbatten Plan: মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা:
  • ভারত বিভাগ ও পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • ভারত ও পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রকেই ডােমিনিয়ন মর্যাদা দেওয়া।
  • উভয় রাষ্ট্রেরই কমনওয়েলথ পরিত্যাগ করার অধিকার থাকবে।
  • ভারতে ও পাকিস্তানে যােগদানে অনিচ্ছুক অঞ্চলসমূহের অধিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রদান করা হয়।

Indian Independence Act, 1947: ভারতীয় স্বাধীনতা আইন, (১৯৪৭):
  • এই আইনের মাধ্যমে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে।
  • ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার প্রস্তাবগুলিকে বিধিবদ্ধ রূপ দেওয়ার জন্য এই আইনটি প্রণীত হয়।
  • ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ই জুলাই রাজার সম্মতির পর বিলটি আইনে পরিণত হয়।
  • এই আইনের মাধ্যমে অবিভক্ত ভারত বিভক্ত হয় এবং সৃষ্টি হয় ভারতীয় ইউনিয়ন ও পাকিস্তান।
  • এই আইনের মাধ্যমে স্থির হয় নতুন সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত উভয় ডােমিনিয়ন এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রদেশগুলির শাসনকার্য ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারতশাসন আইন অনুসারে পরিচালিত হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন for "ভারতের সংবিধান রচনার প্রেক্ষাপট: (The background of the constitution of India)."