মগধ সাম্রাজ্যের উত্থান (Rise of Magadha):


পরপর চারটি শক্তিশালী রাজবংশের ধারবাহিক রাজত্ব মগধের উত্থান সম্ভব করেছিল। সেই চারটি রাজবংশ হল-

  •  হর্ষঙ্ক বংশ।
  •  শিশুনাগ বংশ।
  •  নন্দ বংশ।
  •  মৌর্য বংশ।

হর্ষঙ্ক বংশ [Haryanka Dynasty]: 
মগধ সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হর্ষঙ্ক বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা বিম্বিসার। তিনি প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য জয় করেন। তিনি কৌশল রাজ্যকন্যা কোশলদেবীকে বিবাহ করে যৌতুক হিসাবে কাশী লাভ করেন। বৈশালীর লিচ্ছবি রাজকন্যা চেল্লনাকে বিবাহের সূত্রে তিনি উত্তর বিহারে মগধের প্রাধান্য বিস্তারের পথ প্রশস্থ করেন। তিনি শাসক হিসাবেও দক্ষতার পরিচয় দেন। গিরিব্রজে রাজধানী স্থাপন করে তার নাম দেন রাজগৃহ (বর্তমানে রাজগির)। তিনি পুত্র অজাতশত্রুর হাতে নিহত হন। স্বামী শোকে ভগ্নী কোশলদেবী প্রাণত্যাগ করায় কোশলরাজ প্রসেনজিৎ অজাতশত্রুর উপর ক্রুদ্ধ হন। কিন্তু তিনি অজাতশত্রুর হাতে পরাজিত হন এবং নিজ কন্যা ভাজিরাকে অজাতশত্রুর সঙ্গে বিবাহ দেন। ব্রিজিও অজাতশত্রুর অধীনে আসে। তিনি তাঁর রাজধানী পাটলিপুত্রে স্থানান্তরিত করেন।

শৈশুনাগ বংশ [Sisunaga Dynasty]:
মগধের অভ্যুত্থানের পর  শৈশুনাগ বংশের প্রতিষ্ঠাতা শিশুনাগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি বিম্বিসার ও অজাতশত্রুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে মগধের রাজ্য বিস্তার নীতি অক্ষুণ্ণ রাখেন। তাঁর হাতে অবন্তীরাজ প্রদ্যোৎ পরাজিত হন এবং অবন্তী মগধের অন্তর্ভুক্ত হয়।

নন্দ বংশ- মহাপদ্মনন্দ [Nanda Dynasty]:
নন্দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা মহাপদ্ম নন্দের হাতে মগধ বংশের সর্বাধিক বিস্তার ঘটে। পুরাণের মতে তিনি সমস্ত ক্ষত্রিয়দের (পাঞ্চাল, কলিঙ্গ, কাশী, অশ্মক, কুরু, সুরেন, মথিলা ইত্যাদি) পরাজিত করে এক সুবিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দক্ষিণ ভারতের কুন্তল (মহীশূর) অধিকার করেন। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের (যেমন­­­­­­­- রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়) মতে তিনিই ছিলেন উত্তর ভারতের প্রথম সম্রাট। শোনা যায় তার পরাক্রমের ভয়ে গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের সৈন্যদল ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চায় নি। মগধের উত্থান পরিপূর্ণ রূপ পায় মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের হাতে।

মৌর্যবংশ [Maurya Dynasty] সম্পর্কে জানতে নিচের ক্লিক করুন;     

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন for "মগধ সাম্রাজ্যের উত্থান (Rise of Magadha): "