ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত শােষণের বিরদ্ধে অধিকার আলােচনা করাে।


ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার শপথ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শােষণ বজায় থাকলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। তাই গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে সংবিধানের ২৩ ও ২৪ নং ধারায় শােষণের বিরুদ্ধে অধিকার স্বীকৃত হয়েছে।

২৩ নং ধারা: এই ধারায় বলা হয়েছে—
  •  মানুষকে নিয়ে কেনাবেচা চলবে না।
  •  বেগার খাটানাে চলবে না।
  •  জোর করে কাজ করতে বাধ্য করা চলবে না। এর মাধ্যমে নারী ও শিশুদের কেনাবেচা এবং নারীদের পতিতা বৃত্তি ও শিশুদের ভিক্ষা বৃত্তিতে নিযুক্ত করাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ব্যতিক্রম: রাষ্ট্র জনস্বার্থে নাগরিকদের বাধ্যতামূলকভাবে কোনাে কাজ করাতে পারে। যেমন, দেশরক্ষার প্রয়ােজনে সেনাবাহিনীতে যােগ দিতে বাধ্য করাতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে কোনাে ভেদাভেদ করা চলবে না।

২৪ নং ধারা: এই ধারায় বলা হয়েছে— 
১৪ বছরের কম বয়সের শিশুদের কলকারখানা, খনি বা অন্য কোনাে বিপজ্জনক কাজে নিয়ােগ করা যাবে না। দারিদ্রের সুযােগ নিয়ে শিশুদের নামমাত্র পারিশ্রমিক দিয়ে মালিকরা যেভাবে তাদের কাজে লাগায়, তা বন্ধ করতে এই ধারায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মূল্যায়ন: শােষণের বিরুদ্ধে অধিকার স্বীকৃত হলেও বাস্তবে শােষণহীন সমাজ গড়ে তােলা যায়নি। এখনও মহিলা ও শিশুদের কেনাবেচা চলে। ভারতে শিশু শ্রমিকদের সংখ্যা সরকারি হিসাব অনুযায়ী সাড়ে চার কোটির বেশি। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হলে এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন for "ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত শােষণের বিরদ্ধে অধিকার আলােচনা করাে।"