ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখিত সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার ব্যাখ্যা করাে:


শিক্ষা ছাড়া মানুষের ব্যক্তিত্বের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ সম্ভব নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জন স্টুয়ার্ট মিল (Mill) বলেছেন- সার্বিক ভােটাধিকার দেবার আগে সার্বিক শিক্ষার প্রয়ােজন। প্রকৃতপক্ষে সমাজের উন্নতির মাপকাঠি হল শিক্ষা। তাই সংবিধান রচয়িতারা সংবিধানের ২৯ ও ৩০ ধারায় নাগরিকদের সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকারকে সুনিশ্চিত করেছেন।

২৯ নং ধারা: এই ধারায় বলা হয়েছে—
নাগরিকরা নিজেদের ভাষা, লিপি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের অধিকার ভােগ করবে। তা ছাড়া, সরকারের দ্বারা বা সরকারের আর্থিক সাহায্য পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ম, বংশ, বর্ণ বা ভাষার কারণে কোনাে ব্যক্তিকে প্রবেশের সুযােগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

৩০ নং ধারা: এই ধারায় বলা হয়েছে—
ধর্ম ও ভাষাভিত্তিক সংখ্যালঘুদের নিজেদের পছন্দমতাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গঠন করা ও পরিচালনা করার অধিকার থাকবে। সরকার সাহায্য দেবার ব্যাপারে এই ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনাে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না।

মূল্যায়ন: শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের অধিকার স্বীকৃতির ফলে ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় হবে। কিন্তু সংখ্যালঘুর সংজ্ঞা সুনির্দিষ্টভাবে বলা নেই বলে নানা ধরনের বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন for "ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখিত সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার ব্যাখ্যা করাে:"