ভারতের অবস্থান ও ভারতের বিস্তার:


ভারতের অবস্থান:

  • ভারতের ভূখণ্ডটি ভারতীয় টেকটোনিক পাত ও ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের মধ্যস্থিত একটি গৌণ পাতের উপর অবস্থিত। 
  • ভারত বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম এবং জনসংখ্যায় দ্বিতীয় (চিনের পরই) বৃহত্তম দেশ। 
  • আয়তনে ভারত সমগ্র পৃথিবীর প্রায় ২.৪% ক্ষেত্রফল অধিকার করে রয়েছে এবং জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৭.৭৪% শতাংশ দখল করে রেখেছে। 


আয়তনের বিচারে বিশ্বের প্রথম দশটি দেশ হল-
  • ১. রাশিয়া ২. কানাডা ৩. আমেরিকা ৪. চিন ৫. ব্রাজিল ৬. অস্ট্রেলিয়া ৭. ভারত ৮. আর্জেন্টিনা ৯. কাজাখাস্তান ১০. আলজেরিয়া। 
  • ভারতের অবস্থান বুঝতে গেলে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশর ব্যাপারে জানতে হবে। 
  • পৃথিবীকে নিরক্ষরেখা উত্তর গোলার্ধে ও দক্ষিণ গোলার্ধে ভাগ করেছে। আর মূল মধ্যরেখা পৃথিবীকে পূর্ব গোলার্ধে ও পশ্চিম গোলার্ধে ভাগ করেছে। 
  • নিরক্ষরেখার সাহায্যে উত্তর বা দক্ষিণ গোলার্ধে যদি কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা যায় (কৌণিক দুরত্ব) তখন সেটি অক্ষাংশ গত অবস্থান বলে। অক্ষাংশ গত অবস্থানের শেষে উত্তর বা দক্ষিণ লিখতে হয়। মানে কোন গোলার্ধে আছে উত্তর গোলার্ধে না দক্ষিণ গোলার্ধে। 
  • আবার মূলমধ্যরেখা পৃথিবীকে পূর্ব গোলার্ধে ও পশ্চিম গোলার্ধে ভাগ করেছে। মূলমধ্যরেখা দিয়ে পূর্ব বা পশ্চিম গোলার্ধের কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয় তখন সেটিকে দ্রাঘিমাংশগত অবস্থান বলা হয়। দ্রাঘিমাংশ গত অবস্থানের শেষে পূর্ব বা পশ্চিম লিখতে হয়। মানে কোন গোলার্ধে আছে পূর্ব গোলার্ধে না পশ্চিম গোলার্ধে। 

যেমন ভারতের ক্ষেত্রে:
  • ভারতের অক্ষাংশ গত অবস্থান: মূল ভূখণ্ড দক্ষিণে ৮°৪৪′ উঃ (North) (কন্যাকুমারিকা) থেকে উত্তরে ৩৭°৬' উঃ (North) (কাশ্মীরের উত্তর সীমা ইন্দিরা কল) পর্যন্ত বিস্তৃত। 
যেহেতু ভারত উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত তাই অক্ষাংশ গত অবস্থানে উত্তর (North) লেখা হয়। 
  • ভারতের ক্ষেত্রে দ্রাঘিমাংশ অবস্থান: মূল ভূখণ্ড পূর্বে ৯৭°২৫' পূঃ (East) (অরুণাচল  প্রদেশ) থেকে পশ্চিমে ৬৮০৭' পূঃ (East) (গুজরাটের কচ্ছ) পর্যন্ত বিস্তৃত। মূলমধ্যরেখা সাপেক্ষে ভারত পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত তাই দ্রাঘিমাংশগত অবস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ব বা East লেখা হয়। 
  • তাহলে আমাদের দেশ ভারত উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণে ৮°৪৪′ উঃ এবং উত্তরে ৩৭°৬' উঃ অক্ষাংশ আর পশ্চিমে ৬৮°৭' পূঃ এবং পূর্বে ৯৭°২৫' পূঃ দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। 

  1. Latitude- 37°6' North (Indira col) and 8°44' North (Cope camorian). 
  2. Longitude- 97°25' E (Arunachal Pradesh) 68°7' E (Kuchh region).

  • পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে (সাড়ে তেইশ ডিগ্রি অক্ষরেখা) পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত পূর্ণবৃত্ত কাল্পনিক রেখাটি হলো কর্কটক্রান্তি রেখা। 
  • এটি ভারতের ৮টি রাজ্যের উপর দিয়ে গেছে- গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও মিজোরাম) 
  • কর্কট ক্রান্তি রেখা ভারতের মাঝ বরাবর দিয়ে যাবার জন্য ভারতের জলবায়ু উষ্ণ ও ক্রান্তিয়। 
  • ভারতের উত্তরতম স্থান: কাশ্মীরের ইন্দিরা কল (Indira col).
  • ভারতের দক্ষিণতম স্থান: আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইন্দিরা পয়েন্ট (Indira Point) বা পিগমেলিয়ান পয়েন্ট (Pygmalion Point). 
  • ভারতের পশ্চিমতম স্থান:  গুজরাটের গুহার মোটার পশ্চিম (West of Ghuar Mota) 
  • ভারতের পূর্বতম স্থান: অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু (Kibithu) 
  • ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু (সমগ্র ভারতীয় সীমানায়)- ইন্দিরা পয়েন্ট। 
  • ভারতের মূলখন্ডের দক্ষিণতম বিন্দু- কন্যাকুমারিকা।
ভারতের বিস্তার:
  • ভারতের উত্তরে কাশ্মীরের ইন্দিরা কল থেকে দক্ষিণে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিস্তার হল ৩,২১৪ কিমি।
  • গুজরাটের কচ্ছের রান থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত পূর্ব পশ্চিমে প্রন্থ হল ২,৯৩৩ কিমি। 
  • ভারতের উত্তর-দক্ষিণের বিস্তার পূর্ব-পশ্চিমের বিস্তারের চেয়ে ২৮১ কিমি বেশি। 
  • ভারতের আয়তন ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গ কিমি। 
  • ভারতের স্থল সীমানা প্রায় ১৫,২০০ কিমি। 
  • ভারতের উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য (লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সহ) ৭,৫১৬.৬ কিমি। 
  • (৬,১০০ কিমি ভারতের মূলভূখন্ডের উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ১১৯৭ কিমি দ্বীপাঞ্চল উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য) 
  • ভারতের মূলভূখন্ডের উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য (লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জবাদ দিয়ে) ৬,১০০ কিমি। 
  • ভারতের ৯টি রাজ্য এবং ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল উপকূলবর্তী। 

ভারতের উপকূলবর্তী রাজ্য হল- 
  • গুজরাট (১২১৪.৭ কিমি), মহারাষ্ট্র (৬৫২.৬ কিমি), গোয়া (১০১ কিমি),কর্ণাটক (২৮০ কিমি), কেরালা (৫৬৯.৭ কিমি), তামিলনাড়ু (৯০৬.৯ কিমি), অন্ধ্রপ্রদেশ (৯৭৩.৭কিমি), ওডিশা (৪৭৬.৪কিমি), পশ্চিমবঙ্গ (১৫৭.৫ কিমি)। 
ভারতের ৪টি উপকূলবর্তী কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হল- 
  • দমন ও দিউ, পুদুচেরি (পন্ডিচেরি), লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (১৯৬২ কিমি)। 
  • ভারতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (১৯৬২ কিমি)-র উপকূলবর্তী সীমা সর্বাধিক। 
  • শুধু রাজ্যগুলির মধ্যে গুজরাটের উপকূলবর্তী সীমা সর্বাধিক (১২১৪.৭ কিমি)। তারপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ (৯৭৩.৭ কিমি), তামিলনাড়ু (৯০৬.৯ কিমি)।

ভারতের প্রতিবেশী দেশ সমূহ;
ভারতের ৮টি প্রতিবেশী দেশ আছে।
সেগুলি হল-


  • বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, চিন,  শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। 
  • এর মধ্যে বাংলাদেশের সাথে ভারত সর্বাধিক সীমানা রেখা (৪০৯৬ কিমি) ভাগ করে নিয়েছে। আর আফগানিস্তানের (৮০কিমি) সাথে সবচেয়ে কম। 
  • প্রতিবেশী দেশ গুলির মধ্যে চিন, বাংলাদেশ ও নেপাল ভারতের পাঁচটি করে রাজ্যের সাথে সীমানা ভাগ করে নিয়েছে।
  • পাকিস্তান ভুটান ও বাংলাদেশ চারটি করে ও আফগানিস্তান একটি রাজ্যের সাথে সীমানা ভাগ করে নিয়েছে।
  • ডুরান্ড লাইন ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করেছে।
  • ম্যাকমোহন লাইন ভারত ও চিনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করেছে।
  • Radcliff Line, ২৪ তম প্যারালাল লাইন, ২৮ তম প্যারালাল লাইন ও লাইন অব কন্ট্রোল (LoC) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করেছে।
  • পক প্রণালী ও মান্নার উপসাগর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অবস্থিত।
  • প্রমাণ সময় (I.S.T. = Indian Standard Times): এলাহাবাদের নিকট মির্জাপুরের ৮২°৩০' পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার স্থানীয় সময়কে ভারতের প্রমাণ সময় ধরা হয়েছে।
  • ভারতের প্রমাণ সময় Greenwich Mean Time এর তুলনায় ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট এগিয়ে আছে।
  • ভারতের পূর্বতম প্রান্ত (অরুণাচল প্রদেশ) ও পশ্চিমতম প্রান্তের (গুজরাট) সময়ের পার্থক্য ১১৬ মিনিট বা প্রায় দু ঘন্টা।
  • (ভারতের পশ্চিমতম প্রান্ত ও পূর্বতম প্রান্তের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৯৭°২৫'- ৬৮°৭′ = ২৯°। যেহেতু ১০ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট। সুতরাং ২৯° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪x২৯= ১১৬ মিনিট বা প্রায় দু ঘন্টা)
  • উল্লেখ্য কলকাতার দ্রাঘিমাংশ ৮৮° ২১'। ভারতের প্রমাণ সময়ের চেয়ে কলকাতা ২৪ মিনিট এগিয়ে
  • (কলকাতা ও এলাহাবাদের দ্রাঘিমাংশের মধ্যে পার্থক্য ৮৮°২১' ৮২°৩০′ = ৬° তাহলে সময়ের পার্থক্য দাঁড়ায় ৬০৪ =২৪ মিনিট)।
এক নজরে ভারত
  • ভারত ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত।
  • ভারতে প্রত্যেক রাজ্যে নির্বাচিত রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়।
  • কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে একমাত্র পুদুচেরি ও দিল্লিতে নির্বাচিত সরকার রয়েছে।
  • অপর পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রাষ্ট্রপতির প্রত্যক্ষ শাসনাধীন; এই অঞ্চলগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে থাকেন।
  • ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন আইন বলে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলি স্থাপিত হয়।
  • ভাষার ভিত্তিতে প্রথম গঠিত রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ।
  • পুদুচেরি বা পন্ডিচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি চারটি জেলা নিয়ে গঠিত। ফরাসি উপনিবেশ ছিল এই চারটি জেলা।
  • লক্ষ্যনীয় বিষয় হল পন্ডিচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির চারটি জেলা তিনটি ভিন্ন রাজ্যের উপর অবস্থিত।

পুদুচেরির চারটি জেলা
  • কারাইকল ও পুদুচেরি জেলা দুটি তামিলনাডুতে অবস্থিত।
  • ইয়ানাম জেলাটি অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত।
  • মাহে জেলাটি কেরালাতে অবস্থিত।
  • এই জেলাগুলির মধ্যে পুদুচেরির আয়তনে সর্ববৃহৎ বলে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির নাম পুদুচেরির নামে রাখা হয়।
  • ২০০৬ নাগাদ ফরাসি নাম 'পন্ডিচেরি'র বদলে তামিল নাম 'পুদুচেরি' রাখা হয়।
  • কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে একমাত্র পুদুচেরি ও দিল্লিতে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে।
  • ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে ভারতের নবীনতম (২৯ তম) রাজ্য তেলেঙ্গানা গঠিত হয়। তেলেঙ্গানা সীমার মধ্যে অবস্থিত হায়দ্রাবাদ বর্তমানে দুই রাজ্যেরই রাজধানী।
  • অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার কৃষ্ণা নদীর অববাহিকায় অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন রাজধানী অমরাবতী গঠিত হচ্ছে।
  • ভারতের বৃহত্তম রাজ্য রাজস্থান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র।
  • বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
  • ভারতের ক্ষুদ্রতম রাজ্য হল গোয়া। তারপর যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য হল সিকিম ও ত্রিপুরা।
  • ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ।
  • সর্বাধিক রাজ্য সীমানা স্পর্শ করেছে যে রাজ্যর সাথে সেটি হল উত্তর প্রদেশ।
  • উত্তর প্রদেশকে ৮টি রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি স্পর্শ করেছে। রাজ্যগুলি হল উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিহার ও ঝাড়খন্ড।
  • তারপর আসাম আছে।৭টি রাজ্যর সীমানা আসামকে স্পর্শ করেছে (পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ,ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ড)
  • সর্বাধিক রাষ্ট্র স্পর্শ করেছে এমন রাজ্য আছে চারটি। সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর।এই প্রতিটি রাজ্য তিনটি করে রাজ্য স্পর্শ করেছে।
  • সর্বাধিক জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্য হল উত্তরপ্রদেশ। তারপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে মহারাষ্ট্র, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ।
  • সর্বনিন্ম জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্য সিকিম। তারপর সর্বনিন্ম জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্য হিসেবে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ ও গোয়া।
  • ভারতে মোট জেলার সংখ্যা ৭১২টি (সেপ্টেম্বর, ২০১৮)।
  • গুজরাটের কচ্ছ ভারতের বৃহত্তম জেলা।তারপর আছে জম্মু ও কাশ্মীরের জেলা লেহ।
  • কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির মাহে জেলা ভারতের সবচেয়ে ছোট জেলা।
  • ভারতের জন ঘনত্ব ৩৮২ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে।
  • সর্বাধিক জনঘনত্ব পূর্ণ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে প্রথম দিল্লি (১১,৩২০জন প্রতি বর্গ কিমিতে)
  • সর্বাধিক জনঘনত্ব পূর্ণ রাজ্য হল বিহার (১,১০৬)।দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ (১,০২৮) ও কেরালা (৮৬০)।
  • সর্বনিন্ম জন ঘনত্বপূর্ণ রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ (১৭)। তারপর সর্বনিন্ম জন ঘনত্বপূর্ণ রাজ্য হিসেবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে মিজোরাম (৫২) ও জম্মুকাশ্মীর (৫৬)। 
  • রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাক্ষরতার দিক থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে কেরালা (৯৪.০০ %), মিজোরাম (৯১.৩৩%) ও গোয়া (৮৮.৭০%)।
  • কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাক্ষরতার দিক থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে লাক্ষাদ্বীপ (৯১.৮৫%), দমন ও দিউ (৮৭.১০%) এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (৮৬.৬৩%)।
  • রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম সাক্ষরতার দিক থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে বিহার (৬১.৮০ %), তেলেঙ্গানা (৬৬.৪৬%) ও অরুণাচল প্রদেশ (৬৬.৯৫%)।
  • ভারতের বন ভূমির পরিমান মোট ভূখন্ডের ২১.৫৪%।
  • গাছ ও বনভূমি নিয়ে ২৪.৪%। (বনভূমি অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্য ৩৩%)।
  • ভারতে সর্বাধিক বনভূমি দেখাযায় মধ্যপ্রদেশে। ৭৭,৪১৪কিমি। তারপরই আছে যথাক্রমে অরুণাচল প্রদেশ ও ছত্তিসগড়।
  • রাজ্যের মধ্যে শতাংশ হিসেবে সর্বাধিক বনভূমি দেখা যায় মিজোরামে (৮৬.২৭%)।
  • কেরালা রাজ্যটিকে ভগবানের নিজের দেশ (God's Own Country) এবং মশলার বাগান (Spice Garden) বলে অভিহিত করা হয়
  • তামিলনাডুর তাঞাভুর জেলায় বছরে দুবার বৃষ্টিপাত হয়। এই অঞ্চলকে দক্ষিণের শস্যভান্ডার বলা হয়।
  • ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যটিকে বলা হয় 'পঞ্চনদের দেশ'।
  • অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব নাম ছিল NEFA (North Eastern Frontier Agency)
  • ভারতের শীতলতম স্থান যেখানে জনবসতি আছে তা হল জম্মু কাশ্মীরের দ্রাস।
  • ভারতের উষ্ণতম অঞ্চল পশ্চিম রাজস্থানের বার্মার।
  • ভারতের তথা বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয় মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির কাছে মৌসিনরামে (১১,৮৭২ মিলিমিটার)।
  • ভারতে বালুকাময় মরূভূমির নাম থর রাজস্থানে অবস্থিত।
  • গুজরাটের বৃহত্তর কচ্ছ রণ কে ভারতের শুভ্র মরুভূমি (White Desert) বলা হয়।
  • এখানে প্রচুর পরিমানে লবণ উৎপাদন হয় বলে একে সাদা দেখায়।
  • জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখকে ভারতের শীতল মরুভূমি (Cold Desert of India) বলা হয়
  • ভারতের উচ্চতম পর্বত শৃঙ্খ কারাকোরাম পর্বতমালার K2 (কারাকোরাম ২) বা গডিউইন অষ্টিন (৮,৬১১ মিটার)
  • ৮ ডিগ্রি চ্যানেল লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপ ও মালদ্বীপের মধ্যে অবস্থিত।
  • ৯ ডিগ্রি চ্যানেল লাক্ষাদ্বীপের রাজধানী কাভারাত্তি ও মিনিকয় দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত।
  • ১০ ডিগ্রি চ্যানেল আন্দামান দ্বীপ ও নিকোবর দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত।
  • ডানকান প্যাসেজ বৃহত্তম আন্দামানের রুটল্যান্ড ও ক্ষুদ্র আন্দামানের মাঝে অবস্থিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন for "ভারতের অবস্থান ও ভারতের বিস্তার:"