আঞ্চলিক শক্তির উত্থান: অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়: PDF DOWNLOAD


১. পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব লেখ।

উঃ- 1761 খ্রিস্টাব্দে মারাঠা ও আহমদ শাহ আবদালির মধ্যে সংঘটিত পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ ছিল মারাঠাদের জাতীয় বিপর্যয়। এই যুদ্ধের গুরুত্ব বিভিন্ন দিক থেকে ছিল-
) এই যুদ্ধে মারাঠা শক্তির পতন হয়।
) পেশোয়ার সম্মান নষ্ট হয়।
) উত্তর ভারতে ইংরেজ ও দক্ষিণ ভারতে হায়দার আলির উত্থাননের পথ সহজ হয়।

২. মহাসনদ কী?
উঃ-  1717 খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি জন সুরমান মোগল সম্রাট ফারুকশিয়ারের কাছ থেকে বার্ষিক 3 হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলা-বিহার-উরিষ্যা বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার ফরমান আদায় করে। এর দ্বারা কোম্পানি অতিরাষ্ট্রিক সুবিধা লাভ করে তাই একে কোম্পানির ম্যাগনাকার্টা বা মহাসনদ বলে।

৩. মুর্শিদকুলি খানের আমলে বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ উল্লেখ করো।
উঃ-  বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খান ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের সর্বদা বাণিজ্যে উৎসাহিত করতেন। তার আমলে বাংলায় বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল। নবাব মুর্শিদকুলি খানের  শাসন পরিচালনা ইউরোপীয় বণিকদের বাণিজ্যিক কার্যকলাপ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা বাংলার ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ


. ফাররুখশিয়রের ফরমানের গুরুত্ব কী ছিল?

উঃ-  ফারুকশিয়ারের ফরমান এর গুরুত্ব বলতে একদিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করে ছিল। অন্যদিকে বাংলা অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিল।

এই ফরমানে বলা হয়েছিল,

) মাত্র 3000 টাকার বিনিময়ে ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলায় বাণিজ্য করতে পারবে

) কলকাতার কাছাকাছি 38 টি গ্রামে জমি কিনতে পারবে।

) এছাড়া নবাবের টাঁকশাল প্রয়োজন মত ব্যাবহার করতে পারবে।

) কোম্পানির কেউ চুরি করলে তাকে বাংলার নবাব শাস্তি দেবেন এবং কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৫. দস্তক কি?
উঃ-  ফারুকশিয়ারের ফরমান ইংরেজ কোম্পানি ও তার কর্মচারীরা সুবা বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার যে ছাড়পত্র পায় তাকে বলা হয় দস্তক।

৬. কবে কাদের মধ্যে আলিনগরের সন্ধি হয়েছিল?
উঃ-  ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও ইংরেজ কোম্পানির মধ্যে আলিনগরের সন্ধি হয়।

৭. আলিনগরের সন্ধির শর্ত কি ছিল,বা এই সন্ধির তাৎপর্য কি?
উঃ-  আলিনগরের সন্ধির শর্ত গুলি ছিল-
১) ইংরেজরা বিনা শুল্কে বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য করবে।
২) ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ পুনরায় নির্মাণ করবে।
৩) কোম্পানি তার নিজের নামাঙ্কিত মুদ্রা তৈরি করতে পারবে।

৮. কবে কাদের মধ্যে বক্সারের যুদ্ধ হয়?
উঃ- 1764 খ্রিস্টাব্দে অক্টোবর মাসের বাংলার নবাব মীরকাসিম অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা ও মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম এর যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বক্সার যুদ্ধ হয়।

৯. এলাহাবাদের দ্বিতীয় সন্ধি গুরুত্ব কি?
উঃ-  এলাহাবাদের সন্ধি দ্বারা-
১) ইংরেজ কোম্পানি সুবা বাংলায় দেওয়ানী অধিকার লাভ করে।
২) কোম্পানি মুঘল সম্রাটকে বার্ষিক 26 লক্ষ টাকা দিতে সম্মত হয়।

১০. কবে কাদের মধ্যে এলাহাবাদের দ্বিতীয় সন্ধি হয়?
উঃ-  1765 খ্রিস্টাব্দের 12 ই আগস্ট মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তথা লর্ড ক্লাইভের মধ্যে এলাহাবাদের দ্বিতীয় সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।

১১. পলাশীর যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উঃ-  ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন ব্রিটিশ কোম্পানি বাহিনীর সঙ্গে বাংলা নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাহিনীর পলাশীর যুদ্ধ হয়।

১২. পলাশীর লুণ্ঠন বলতে কী বোঝো?
উঃ-  পলাশীর যুদ্ধের পর ক্লাইভ সহ ব্রিটিশ কোম্পানি অন্যান্য উচ্চ পদাধিকারীরা মীরজাফর এর কাছ থেকে প্রচুর সম্পদ ও অর্থ ব্যক্তিগতভাবে এবং কোম্পানির তরফে আত্মসাৎ করে ব্রিটেনে পাঠিয়ে দেয়। সম্পদ লুণ্ঠনের এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক ব্রুকস অ্যাডামস পলাশীর লুণ্ঠন বলে অভিযোগ করেছেন।

১৩. অন্ধকূপ হত্যা কি?
উঃ-  হলওয়েল নামে জৈনিক ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জানান যে, 1756  খ্রিস্টাব্দের নবাব সিরাজউদ্দৌলা যখন কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ দখল করেন তখন তিনি 146 জন ইংরেজ সৈন্যকে 18 ফুট দীর্ঘ 18 ফিট প্রস্থ একটি ছোট ঘরে আটকে রাখেন। একসঙ্গে এত জন মানুষ আটক করার ফলে 123 জন সৈন্য মারা যায়। এই ঘটনা ইতিহাসে অন্ধকূপ হত্যা নামে খ্যাত। 

১৪. 1757 1764 খ্রিস্টাব্দে গুরুত্ব কি?
উঃ- ১)১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন ইংরেজদের সঙ্গে বাংলা নবাব সিরাজউদ্দৌলা পলাশীর যুদ্ধ হয়।

২) ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে 22 অক্টোবর ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও বাংলা নবাব মীরকাসিম, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা, ও মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম এর যৌথ বাহিনীর মধ্যে বক্সারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

১৫. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কি? বা 1770 খ্রিস্টাব্দের বাংলায় ভয়ানক দুর্ভিক্ষে কেন ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয়।
উঃ-  1770  খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ভয়ানক দূর্ভিক্ষ হয়। বাংলা বছর 1176 বঙ্গাব্দ এই যুগে দেখা দিয়েছিল তাই সাধারণভাবে ওই দুর্ভিক্ষকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয়।

১৬. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কি?
উঃ-  ব্রিটিশ কোম্পানির গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি সাম্রাজ্য বিস্তারে উদ্দেশ্যে ভারতে দেশীয় রাজাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিসর্জন এর মাধ্যমে যে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্কের নীতি প্রণয়ন করেন তা ইতিহাসে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি নামে পরিচিত।

১৭. দেওয়ানী অধিকার লাভ এর ফলে ব্রিটিশ বণিকের মানদণ্ড কিভাবে রাজদণ্ড পরিণত হয়েছিল?
উঃ-  1765 খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ব্রিটিশ কোম্পানিকে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী অধিকার প্রদান করেন। এর ফলে কোম্পানি একটি বাণিজ্য গোষ্ঠী থেকে সরাসরি বাংলার প্রধান শক্তিতে পরিণত হয়। বাংলা তথা ভারতের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোম্পানির ক্ষমতার বিস্তার ঘটে। তাই বলা হয় দেওয়ানী অধিকার লাভ এর ফলে ব্রিটিশ বণিকদের মানদণ্ডে পরিণত হয়েছিল।

১৮. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কে প্রবর্তন করেন? কোন শাসক স্বেচ্ছায় এই নীতি মেনে নিয়েছিল?
উঃ
-  অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রবর্তন করেন লর্ড ওয়েলেসলি হায়দ্রাবাদের নিজাম স্বেচ্ছায় এই নীতি মেনে নিয়েছিলেন।

১৯. ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ বলতে কী বোঝায়?
উঃ-  1767 খ্রিস্টাব্দে 1799 খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও মহীশূর রাজ্যের মধ্যে চারটি যুদ্ধ হয়েছিল। এগুলোকে একসঙ্গে ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ বলা হয়।

২০. কে কত সালে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটান?
উঃ-  ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হস্টিংস 1772 খ্রিস্টাব্দে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটান।

২১. হায়দার এসেছিলেন সাম্রাজ্য গড়ার জন্যটিপু এসেছিলেন  ধ্বংসের জন্য উক্তিটির যথার্থ বিচার করো?
উঃ
-  ঐতিহাসিক উইলকিন্স বলেছেন যে হায়দার আলী জন্মেছিলেন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে কিন্তু টিপু জন্মেছিলেন তা ধ্বংস করতে তবে এই মত সর্বাংশে সঠিক নয় কারণ
১)  হায়দার আলীর সময় ইংরেজদের ক্ষমতা সীমিত থাকলেও টিপুর সময় তা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
২) টিপু সময় মহীশুরের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দেশীয় রাজারা ঈর্ষান্বিত হয়েছিল।
৩) হায়দারের মত কূটবুদ্ধি টিপুর ছিল না তাই টিপুর প্রতিকূল পরিস্থিতিকে বিচার করে আলোচ্য মতকে গ্রহণ করা যথার্থ হবেনা।

২২. বেসিনের চুক্তি (১৮০২)গুরুত্ব বা শর্ত কি ছিল?
উঃ-  বেসিনের চুক্তির গুরুত্ব হলো এই যে পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও লর্ড ওয়েলেসলি অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি স্বীকার করে নেন এবং ইংরেজ সেনাবাহিনীর ব্যয় নির্বাহের জন্য তিনি নিজের রাজ্যের একাংশ  ব্রিটিশ কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেন।


২৩. সুরাটের সন্ধি কেন স্বাক্ষরিত হয়?
উঃ-  1772 খ্রিস্টাব্দে পেশোয়া মাধব রাও এর মৃত্যু হলে পেশোয়া পদ নিয়ে নিয়ে মারাঠাদের  মধ্যে গৃহবিবাদ শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে রঘুনাথপুর পেশোয়া পদ ফিরে পেতে ইংরেজদের শরণাপন্ন হন এবং দু'পক্ষের মধ্যে সুরাটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।

২৪. ফারুকশিয়ারের ফরমান কি?
উঃ
-  1717 খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সম্রাট ফারুকশিয়ার যে ফরমান জারি করেন তা ফারুকশিয়ারের ফরমান নামে পরিচিত। এই ফরমান অনুযায়ী কোম্পানি বাংলায় অবাধ বাণিজ্যের অধিকার ও অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করে।

২৫. কবে কাদের মধ্যে পুরন্দরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়?
উঃ-  1776 খ্রিস্টাব্দে বাংলার গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস ও পেশোয়া দ্বিতীয় মাধবরাও এর  মধ্যে পুরন্দরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।

২৬. চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের ফল কি হয়েছিল?
উঃ-  1799 খ্রিস্টাব্দে চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের মহীশুরের অধিপতি টিপু সুলতান পরাজিত ও নিহত হন। এই যুদ্ধের ফলে-
১) দক্ষিণ ভারতের মহীশূর রাজ্যটির বৃহৎ অংশ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধিকার করে।
২) মহীশুরের কিছু অংশ হায়দারাবাদ কে দেওয়া হয়।
৩) মহীশুরের অবশিষ্ট অংশ মহীশুরের প্রাচীন  হিন্দু রাজবংশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
৪) মহীশূর এ কোম্পানির সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।


২৭. পুরন্দরের সন্ধির শর্ত গুলি কি ছিল?
উঃ-  

১) সুরাটের সন্ধি বাতিল হয়।

২) ইংরেজরা রঘুনাথ রাইয়ের বদলে দ্বিতীয় মাধবরাও কে পেশা বলে মেনে নেয়।
৩) রঘুনাথ রাওকে বৃত্তি দানের ব্যবস্থা করা হয়।
৪) যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বাবদ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি 12 লক্ষ টাকা পেশোয়ার নিকট থেকে আদায় করে।


২৮. সলবাই সন্ধির(১৭৮২) শর্তগুলি কি ছিল?
উঃ-  

১) ইংরেজরা মাধবরাও কে পেশা বলে মেনে নেয়।
২) রঘুনাথ রাওকে তিন লক্ষ টাকা বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।
৩) ইংরেজরা সলসেট, বেসিন,থানে প্রভৃতি অঞ্চল মারাঠদের কাছ থেকে লাভ করে।

২৯. বেসিনের চুক্তির গুরুত্ব কী ছিল?
উঃ-  বেসিনের চুক্তির গুরুত্ব হলো এই যে, পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও লর্ড ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি স্বীকার করে নেন এবং ইংরেজ সেনাবাহিনীর ব্যয় নির্বাহের জন্য তিনি নিজের রাজ্যের একাংশ ব্রিটিশ কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেন।

৩০. স্বত্ববিলোপ নীতির মূল কথা কি ছিল?
উঃ-  লর্ড ডালহৌসি প্রবর্তিত স্বত্ববিলোপ নীতির মূল কথা হলো ভারতের কোন দেশীয় রাজ্যের রাজা কোম্পানির অনুমতি ছাড়া দত্তকপুত্র গ্রহণ করতে পারবে না। উপরন্তু তিনি মারা গেলে ওই রাজ্যটি সরাসরি ব্রিটিশ কোম্পানি দখল করে নেবে।

৩১. কে, কীভাবে ও কবে হায়দরাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উঃ-  আসফ ঝা মুরাবিজ খানকে 1723 খ্রিষ্টাব্দে, আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল

৩২. দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?

উঃ-  কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর বাংলার নতুন ধরনের শাসন ব্যবস্থা কায়েম  হয় বাস্তবে বাংলা দুজন শাসক তৈরি হয়। একদিকে রাজনৈতিক ও নিজ  মতামতের দায়িত্ব ছিল বাংলার নবাবের হাতে যাবতীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থেকে গিয়েছিল বাংলার নবাবের হাতে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক রাজস্ব আদায়ের সম্পূর্ণ অধিকার পেয়েছিল ব্রিটিশ কোম্পানিঅর্থাৎ বাংলা ফটো দেখাতে ছিল অর্থনৈতিক ক্ষমতা হীন রাজনৈতিক দায়িত্ব অন্যদিকে ব্রিটিশ কোম্পানি ছিলো  অর্থনৈতিক ক্ষমতা বাংলার শাসন ব্যবস্থা কে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কে বলা হয়।

৩২. ব্রিটিশ রেসিডেন্টদের কাজ কী ছিল?

উঃ-  ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক অঞ্চলেই ব্রিটিশ কোম্পানি 'পরোক্ষ শাসন' চালাত। নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষা করার জন্য বিভিন্ন রাজদরবারে নিজেদের প্রতিনিধি রাখত কোম্পানি। সেই প্রতিনিধিরা রেসিডেন্ট নামে পরিচিত ছিল।

কোম্পানির নজর এড়িয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা ভারতীয় রাজশক্তিগুলির বিশেষ ছিল। কোম্পানির হয়ে সেই নজরদারির কাজটাই চালাত স্থানীয় ব্রিটিশ রেসিডেন্ট।


এই পোস্টের pdf download করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন ⤵️

FREE PDF DOWNLOAD 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন for "আঞ্চলিক শক্তির উত্থান: অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়: PDF DOWNLOAD"